মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:২৪ অপরাহ্ন
সুমন তালুকদার,স্টাফ রিপোর্টার॥ শতবর্ষের অধিক বয়সী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামেদ ঘরামীর সহায় সম্পত্তিই জীবনের শেষ মুহুর্তে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে।
সন্তানদের মধ্যে সম্পত্তি লিখে দেয়া ও বন্টনকে কেন্দ্র করে । ওই বৃদ্ধর উন্নত চিকিৎসা নিয়ে স্বজনদের মাঝে একাধিকবার হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাদের এই হামলা পাল্টা হামলার ঘটনায় হাসপাতালে অন্য রোগী ও স্বজনদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরুষ ওয়ার্ডের। রোববার রাতে ও সোমবার সকালে পৃথকভাবে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনাটি ঘটে।
উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের বাহাদুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামেদ ঘরামীর কন্যা ও বরগুনা জেলার বামনা উপজেলা যুব উন্নয়ন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক বিউটি আক্তার জানান, তার পিতা দীর্ঘ দিন যাবত গ্যাস্টিক আলসার রোগে ভূগছেন। গত শুক্রবার তার বড় ভাই দুলাল ঘরামী গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার বৃদ্ধা মাকেসহ হাসপাতালে রেখে চলে যায়।
খবর পেয়ে পরবর্তীতে তিনি (বিউটি) বামনা থেকে রোববার সকালে গৌরনদী আসেন। তার পিতার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রোববার রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করে ছাড়পত্র গ্রহন করেন।
এ খবর পেয়ে বিউটির মেঝে ভাই উজিরপুর যুব উন্নয়ন অফিসের সহায়ক জামাল ঘরামী রাত ৮টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়ে ঢাকা নিতে বাঁধা প্রদান করে। এ নিয়ে পুরুষ ওয়ার্ডে দুই ভাই-বোনের মধ্যে বাকবিতান্ডা হয়। বাক বিতান্ডার এক পর্যায় জামাল তার বোনকে মারধর করে।
পরবর্তীতে সোমবার সকালে জামালের পুত্র নৌ পুলিশ কনস্টবল ইমরান ঘরামী হাসপাতালে আসে। এ সময় ফুফু বিউটির সাথে ইমরান বাকবিতান্ডায় জড়ায়। এক প্রতিনিধি চিত্র ধারন করতে গেলে ইমরান ঘরামী বাঁধা প্রদান করে এবং সাংবাদিকের সাথে বাকবিতান্ডায় জড়িয়ে পরে।
সকাল ১১টা ৩৮ মিনিটের সময় পূনরায় পুলিশ কনস্টবল ইমরানের সাথে ফুফু বিউটির সংঘর্ষ হয়। এ সময় ওয়ার্ডে ভর্তি রোগী ও স্বজনরা আতঙ্কে ছুটাছুটি করতে থাকে। খবর পেয়ে দুপুরে মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উজিরপুর যুব উন্নয়ন অফিসের সহায়ক ও বৃদ্ধর পুত্র জামাল ঘরামী মুঠো ফোনে বলেন, ইতোমধ্যে আমার ছোট ভাই কাশেম ঘরামী বোনের সহায়তায় আমার পিতাকে ভূল বুঝিয়ে অনেক জমি সাব-কবলামূলে দলিল করে নিয়েছে। আমার পিতাকে উন্নত চিৎিসার নামে ঢাকা নিয়ে বাকী জমি লিখে নেয়ার পায়তারা করছে তারা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মাজেদুল হক কাউছার বলেন, গত শুক্রবার বাটাজোর ইউনিয়নের বাহাদুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামেদ ঘরামীকে (১১৫) অসুস্থ্য অবস্থায় তার স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
পরবর্তীতে রোববার রাতে রোগীর মেয়ে বিউটি আক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করে ছাড়পত্র গ্রহন করেন।
এ নিয়ে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে একাধিকবার গন্ডগোল হয়। পরবর্তীতে আমার থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহতি করি।
Leave a Reply